ভূ-স্বর্গ নামে পরিচিত কাশ্মীর। এর রূপে এমনই মুগ্ধ হয়েছিলেন মোঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরযে কাশ্মীরকে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন। কাশ্মীরের রূপের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে এমন সবারই মনে সুপ্ত বাসনা থাকে জীবনে একবার হলেও কাশ্মীর ঘুরে আসার। প্রতি বছরই দেশের অনেক ভ্রমণ পিপাসুরা এই স্বর্গরাজ্য কাশ্মীরে ছুটে যায় এর অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে।

কাশ্মীর হলো পৃথিবীর একটি ভুস্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক লিলা ভূমি। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্রমণ পিয়াসুরা এই অঞ্চলে বছরের বিভিন্ন সময় ভ্রমন করতে আসেন।

কাশ্মীর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়ঃ

বছরের যে কোন সময় কাশ্মীর ভ্রমণ করা যায়। আবহাওয়ার দিক থেকে কাশ্মীরের মৌসুম মূলত চারটি। গ্রীস্মকাল যা জুন, জুলাই এবং আগষ্ট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, শরৎকাল যা সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর পযন্ত স্থায়ী হয়, তারপর শীতকাল যা ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং সর্বশেষ বসন্তকাল যা মার্চ থেকে শুরু হয়ে মে মাস পর্যন্ত থাকে।

এই চার মৌসুমে কাশ্মীরে চার রকম রুপ মেলে। স্নোফল পছন্দ করলে অবশ্যই শীতকাল হবে আপনার ভ্রমণের আদর্শ সময়, তবে শীতে কাশ্মীর ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে রাখতে হবে বাড়তি প্রস্তুতি। গরম কাপড়, গ্লাভস, বুট প্রয়োজন হবে। তবে শীতকালে সব এলাকায় ভ্রমণ নাও হতে পারে বরফের কারনে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

আর যারা ফুলের কাশ্মীরকে দেখতে চান, তাদের জন্যে বসন্তকাল হবে ভ্রমণের জন্যে আদর্শ সময়। এই সময় টিউলিপ পাবেন, গাছে ফুল পাবেন এবং বাড়তি হিসেবে পাবেন বরফ তো পাবেনই এবং এই সময় সব কিছুর দাম অনেক বেশী থাকে।

আপেল এর সিজন শুরু হয় শরৎকালে এই সময় ও যেতে পারেন। বর্ষাকালের শেষের দিকে সবুজ কাশ্মীরকে দেখার আনন্দ অন্যরকম। সাথে বাগান ভরা আপেল, জাফরান, আখরোট প্রভৃতি তো আছেই।

এছাড়া বর্ষার যে আলাদা একটা সৌন্দর্য্য আছে সেটা আরও দ্বিগুন হয়ে যায় কাশ্মীরে। তাই এটার সৌন্দর্য্য ভিন্ন। এসময় অফ সিজন হওয়ায় সব কিছু দাম অনেক কম থাকে।